করোনার সুফল,সেটা আবার কি?যেখানে সমস্ত পৃথিবীর জনজীবন মহা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে,যেখানে জীবনের শেকড় থেকে শিখরে এক দুর্বিসহ যন্ত্রনায় দিনাতিপাত করছে সেখানে আবার করোনার সুফল কি?বিষয়টা হাস্যকর বটে।কিন্তু চোখদুটো বন্ধ করে একটু নিবিড়ভাবে চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায়,করোনা বিচিত্র হাজারো প্রানীজগতের মধ্যে শুধু মনুষ্য জাতীর জন্য অভিষাপ হলেও অনেকের জন্যই তা অধশির্বাদ স্বরূপ।এমনকি মনুষ্য জাতীর জন্যও অনেক ক্ষেত্রে করোনা সুফল বয়ে এনেছে।বিষয়টার যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন। যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিচার করি তাহেলে দেখা যায় যে,কেবল ঢাকার শহরের পরিবেশ পাল্টে গেছে বহু গুনে।বাতাসে শিষার পরিমান কমে গেছে কয়েকগুন।গাড়ির ধোয়া আর বাতাসে বিশাক্ত শিষা নেই।শব্দ দুষন না থাকায় মানুষের শ্রবন শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।ইট ভাটা আর কলকারখানার কালো ধোয়া মুক্ত বাতাসে শস্তির নিশ্বাস,ফলে জীব বৈচিত্র ফিরে এসেছে। আকাশে বায়ুমন্ডল স্বচ্ছ হয়েছে।নতুন নতুন পাখির সমাগম ঘটেছে।সারা বিশ্বে যে পরিমান কার্বনডাইঅক্সাইড কার্বোন মনোঅক্সাইড সহ ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদন হতো তা হ্রাস পেয়েছে কয়েক গুন। ফলে মানুষের ও অন্যান্য প্রাণির গড় আয়ু বৃদ্ধি পাবে সন্তোষ জনক হারে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সহ পৃথিবীর বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত তাদের স্বকীয়তা ফিরে পেয়েছে।নতুন নতুন জলজ প্রণি সহ প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণিগুলো অবলিলায় হেসে খেলে বেড়াচ্ছে তাদের সলিল জগতে। প্রান ফিরে পেয়েছে বনজ উদ্ভিদ এবং প্রাণিরা।সমগ্র পৃথিবী এক সবুজ রং এ উদ্ভাসিত হয়েছে।সামাজিক এবং পারিবারিক প্রেক্ষাপটে করোনা এক নতুন আশির্বাদ হয়ে হাজির হয়েছে।কর্মময় যান্ত্রিক জীবনের রোসানল হতে অবমুক্ত হয়ে মানুষ এখন প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে।স্ত্রী তার স্বামীকে আর স্বামী তার স্ত্রীকে কাছে পেয়েছে অবারিতভাবে।সন্তান তার বাবা মায়ের স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে বহুগুনে ।পারিবারিক সম্পর্ক হয়েছে মজবুত।সামাজিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলেও প্রকারন্তরে সেটা আরো সুদৃঢ় হয়েছে।নির্মল বায়ু বইছে চারিদিক ।মানুষ ও প্রাণিকুলের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।অবসর সময়ে মানুষ তার মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছে।সৃজনশীল কাজে মনোযোগি হয়েছে আগের তুলনায় ঢের বেশী।আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশে দেশে য়ে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব ছিলো সেটা হৃাস পেয়েছে।পরস্পরের মধ্যে সহনশীলতাও বেড়েছে।অর্থনৈতিক ভাবে মানুষ সাবলম্বী হয়েছে বেশী।যদিও চারিদিকে অনাহারীর আহাকার আর আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে,তথাপি এক অর্থে মানুষ মিতব্যায়ি হয়েছে কারন ক্রয় করার সুযোগ কমায় মানুষের ব্যায় সংকোচন হয়েছে।ফলে অর্থ সঞ্চয় করতে সমর্থ হয়েছে মানুষ।বিশেসজ্ঞরা মনে করেন নির্দিষ্ট কয়েকবছর পরপর সারা বিশ্বেই নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য লক ডাউন বিশেষ দরকার।তাতে করে সমগ্র মানব ও প্রাণি জগতের রিফ্রেসমেন্ট হবে।করোনা এবং লকডাউন বড়ই বিচিত্র।বন্দি আমরা কাদছি ভেবে,হাসছে ওরা প্রাণি যারা মুক্ত হয়ে শেষে।
ঠিকানা Modhubon Shopping City,
Bondorbazar,Sylhet,Bangladesh.
মোবাইল নম্বার : ০১৭১২০৫২৩৫৩
ইমেইল : akm33.anu@gmail.com